জাফরানের পরিচিতি
জাফরান এর ২৫টি কার্যকারিতাঃ
জাফরান ক্রোকাস স্যাটিভা (crocus sativa) নামের একটি এক্সোটিক (Exotic) বা বহিরাগত ফুল থেকে আহরিত হয়। এটি মূলত ইরান, ভারত এবং গ্রিসের কিছু এলাকাতে হয়। বাংলাদেশে না হওয়ার কারণে এর দামটা একটু বেশি। এটি মূলত ফুড কালারিং এজেন্ট (Food coloring agent) হিসেবে বিভিন্ন খাবার এবং পেস্ট্রিতে ব্যবহার করা হয়। ৩৫০০ বছর আগ থেকে এর চাষ হয়ে আসছে এবং প্রায় ৯০টিরও বেশি রোগের সমাধান দিয়ে থাকে এই উপাদানটি। ঠান্ডা, কাশি, ঘুম না হওয়া, কার্ডিও ডিজিজ বা হার্টের সমস্যা, গর্ভাবস্থায় ত্রৈমাসিক বিকাশ (Pregnancy Trimester Development) সহ আরও অনেক সমস্যার সমাধান দিয়ে থাকে।
১। জাফরানে রয়েছে পটাশিয়াম যা উচ্চ রক্ত চাপ ও হৃদপিণ্ডের সমস্যা জনিত রোগ দূর করে।
২। পুরুষত্বহীনতা, অকাল বীর্যপাত ও লিঙ্গ উথান সমস্যা দূর করে সুস্থ যৌনজীবন দেয় জাফরান৷
৩। হজমে সমস্যা এবং হজম সংক্রান্ত যে কোনও ধরনের সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে জাফরান।
৪। জাফরানের পটাশিয়াম আমাদের দেহে নতুন কোষ গঠন এবং ক্ষতিগ্রস্ত কোষ সারিয়ে তুলতে সহায়তা করে।
৫। জাফরানের নানা উপাদান আমাদের মস্তিষ্ককে রিলাক্স করতে সহায়তা করে, এতে করে মানসিক চাপ ও বিষণ্ণতা জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়৷
৬। মেয়েদের মাসিকের অস্বস্তিকর ব্যথা এবং মাসিক শুরুর আগের অস্বস্তি দূর করতে জাফরানের জুড়ি নেই।
৭। নিয়মিত জাফরান সেবনে শ্বাস প্রশ্বাসের নানা ধরণের সমস্যা যেমন অ্যাজমা, পারটুসিস, কাশি এবং বসে যাওয়া কফ দূর করতে সহায়তা করে।
৮। জাফরানের ক্রোসিন নামক উপাদানটি অতিরিক্ত জ্বর কমাতে সহায়তা করে।
৯। জাফরানের রয়েছে অনিদ্রা সমস্যা দূর করার জাদুকরী ক্ষমতা। ঘুমোতে যাওয়ার আগে গরম দুধে সামান্য জাফরান মিশিয়ে পান করলে অনিদ্রা সমস্যা দূর হবে।
১০। সামান্য একটু জাফরান নিয়ে মাড়িতে ম্যাসেজ করলে মাড়ি, দাঁত এবং জিহ্বার নানা সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব৷
১১। গবেষণায় দেখা যায় জাফরান দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে এবং চোখের ছানি পড়া সমস্যা প্রতিরোধে কাজ করে৷
১২। জাফরানের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান বাতের ব্যথা, জয়েন্টে ব্যথা, মাংসপেশির ব্যথা এবং দুর্বলতা দূর করতে অব্যর্থ ঔষুধ৷
১৩। অ্যাসিডিটির সমস্যা থেকে রেহাই দিতে পারে সামান্য একটু খানি জাফরান৷
১৪। জাফরানের ক্যান্সার প্রতিরোধ করার ক্ষমতা আছে৷
১৫। জাফরান দেহের কলেস্টোরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইড নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
১৬। মস্তিস্কের গঠন উন্নত করতে জাফরানের ভূমিকা অনস্বীকার্য। জাফরান স্মৃতিশক্তি এবং চিন্তা ক্ষমতা উন্নত করে৷ এছাড়াও আলজাইমার এবং পার্কিনসন রোগ থেকে দূরে রেখে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রকে বাঁচায়৷
১৭। কিডনি, যকৃৎ এবং মুত্রথলির রোগ থেকে মুক্তি দেয় জাফরান৷
১৮। যষ্ঠিমধু এবং দুধের সঙ্গে জাফরান মিশিয়ে মাথায় লাগালে চুল পড়া বন্ধ হয় এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে৷
১৯। টিউমারের রোধ বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে৷
২০। ত্বকে ঔজ্বল্য বাড়ায় এবং বলিরেখা দূর করতে সহায়তা করে৷
২১। সূর্যের অতিরিক্ত তাপে ত্বকের ওপর যে ছোপ ছোপ দাগ হয়, জাফরান মিশ্রিত দুধ প্রতি দিন লাগালে তা দূর হয়ে যায়, দেহবর্ণে ক্রমশ হলুদ আভা দেখা যায়।
২২। জাফরানে রয়েছে পটাশিয়াম যা উচ্চ রক্ত চাপ ও হৃদপিণ্ডের সমস্যা জনিত রোগ দূর করে।
২৩। জাফরান এছাড়াও যুগ্ম যন্ত্রনা থেকে ত্রাণ প্রদান করে । এটি টিস্যু শ্রমসাধ্য ব্যায়াম পর নির্মিত যা পায় ল্যাকটিক অ্যাসিড পরিত্রাণ পেতে সাহায্য ক্লান্তি এবং পেশী প্রদাহ eases হিসাবে এটি ক্রীড়াবিদ জন্য খুব সহায়ক হবে ।
২৪। টাক সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য রোগের জন্যজাফরান খুবই উপকারী।
২৫। জাফরানে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রয়োজনীয় ভিটামিন, যা আপনাকে বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি দেয়।
জাফরানে আছে ম্যাংগানিজ (Manganese), এন্টি ইনফ্লামেটরি( Anti-Inflammatory) এবং এন্টি ফাংগাল এজেন্ট (Antifungal agent) যা ব্লাড সুগার নিরাময় করে শরীরের প্রয়োজনীয় হরমোন বিকাশ করে। এছাড়া আছে ভিটামিন সি (Vitamin C), যা ফেইস এবং শরীরকে ইনফেকশন বা সংক্রমণ হওয়া থেকে রক্ষা করে। এর স্পেশাল সুগন্ধযুক্ত স্বাদ খাবারে আনে একস্ট্রা টেস্ট। এতে আছে এন্টিমুটাজেনিক (Antimutagenic) এবং এন্টিটেসিভ এজেন্ট (Antitussive Agent) যা টক্সিকেশন (Toxication) সরিয়ে স্কিনের সেন্সিটিভিটি (Sensitivity) দূর করে। এছাড়া এর এন্টিসোলার এজেন্ট (Anti solar agent) রোদে পোড়া কালচে দাগ দূর করে সানবার্ন থেকে রক্ষা করে। ত্বকে খুব ভালো ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। এটি স্কিনের ইরিটেশন (Irritation) দূর করে স্কিনকে হাইড্রেড করে। এতে ত্বক ভেতর থেকে গ্লো করে এবং স্কিনকে করে আরও সজিব।
* বৈজ্ঞানিক নাম:
জাফরানের বৈজ্ঞানিক নাম – Crocus sativus.
* পরিবার:
কেশর গাছ অটাম ক্রকাস (autumn crocus) নামক আইরিশ গোত্রের উদ্ভিদ।
এই উদ্ভিদের একটি ফুলের পরাগ বা গর্ভদন্ড (Stigmata) থেকে উৎপাদন করা হয় জাফরান।
* উৎপত্তির আদিস্থান:
জাফরান সর্বপ্রথম চাষ হয় প্রাচীন গ্রীসে।
* প্রাপ্তিস্থান:
বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতের জম্বু ও কাশ্মীরে জাফরানের চাষ হয়। সেখান থেকে এনে আমরা এটা ব্যবহার করি।
এছাড়াও পাকিস্তান, তুরস্ক, ইতালি, ইরান, স্পেনসহ ইউরোপ এবং এশিয়ার অন্তত ২০ টি দেশে জাফরানের চাষ হয়। ইরান এবং মিশর দেশগুলি শীতকালীন হওয়ায় সেখানে প্রচুর পরিমাণে জাফরানের চাষ হয়।
* আকার-আকৃতি:
জাফরান গাছ লম্বায় প্রায় ৩০ সেমি. পর্যন্ত হয়।
* গঠন ও বৈশিষ্ট্য:
জাফরান বা কেশর গাছ একটি সপুষ্পক উদ্ভিদ। এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এই গাছের ফুল হয়, কিন্তু ফল জন্মায় না।
পাতাগুলো লম্বাটে অনেকটা লম্বা ঘাসের মতো।
* ফুল:
জাফরান ফুল দেখতে যেমন আকর্ষণীয় তেমনি সুন্দর এর ঘ্রাণ। প্রাচীন কালে এই ফুলের নির্যাস থেকে তেল তৈরি করা হতো। যা সম্ভ্রান্ত পরিবারের মানুষরা ব্যবহার করতো।
* ফল:
কোন এক অজানা কারণে কেশর গাছে কোন ফল বা বীজ উৎপন্ন হয় না।
* মূল জাফরান:
কেশর গাছের বেগুনী কেশর ফুল থেকে জাফরান পাওয়া যায়। প্রতিটি ফুলে ৩টি করে পুংকেশর বা পরাগ দন্ড এগুলোকে ইংরেজিতে বলে স্টিগমা।
এই পরাগ দন্ডই হচ্ছে আসল জাফরান। যা হলুদ এবং কমলার মিশ্রণে লাল বর্ণের হয়; একে জাফরানী রঙও বলা হয়ে থাকে। এই পরাগ দন্ড শুকিয়ে গেলে এগুলো মসলায় পরিণত হয়। কৃষকরা এই পরাগ দন্ড বা পুংকেশর সংগ্রহ করে শুকিয়ে জাফরান প্রস্তুত করে।
* বংশবিস্তার:
কেশর গাছে কোন ফল হয় না। যার ফলে বীজও পাওয়া যায় না। তাই এই উদ্ভিদের বংশ বিস্তারের জন্য মানুষের সাহয্য প্রয়োজন হয়।
কেশর গাছের ক্রোমগুলি মাত্র ১ বছর পর্যন্ত জীবিত থাকে। একারণে এই ১ বছরের মধ্যেই এই ক্রোমগুলিকে মাটিতে রোপন করে ফেলতে হয়।
* উৎপাদনের সময়:
কেশর গাছ একটি শীতকালীন উদ্ভিদ। তাই এটি শীত কালেই বেশি চাষ করা হয়।
জাফরানের বাজার দর:
ভীনদেশী বলে জাফরান দামে কিন্তু অন্যান্য মসলার তুলনায় অনেকটা বেশি। ১ কেজি জাফরানের দাম আড়াই থেকে ৩ লাখ টাকা। এজন্য পৃথিবীর সবচেয়ে দামি মসলা জাফরানকে বলা হয়।
অবশ্য এর এত দামের পেছনে যথেষ্ট কারণও রয়েছে। জাফরান চাষ অনেক জমি জুড়ে করা হলেও, অনেক শ্রম-শক্তি কিংবা অর্থ ব্যয় হলেও তার থেকে কিন্তু সেই পরিমাণ জাফরান পাওয়া যায় না।
এছাড়াও আমাদের প্রত্যেকেরই প্রতিদিন ১ গ্লাস দুধের সাথে কয়কটি জাফরান মিশিয়ে খাওয়া উচিত। এতে আমাদের অজানা অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। ১ গ্লাস জাফরান মিল্ক আপনার বাচ্চার মস্তিষ্ক সক্রিয় করতে অনেক বেশি ভূমিকা পালন করে।এছাড়া ভেতর থেকে ত্বক উজ্জ্বল করতে চাইলেও দুধের সাথে জাফরান মিক্স করে খান। কারণ ত্বকের বাহিরে যা কিছুই মাখি না কেনো ভেতর থেকে উজ্জ্বলতা আমাদের সবার চাওয়া থাকে। জাফরান ত্বকে বলিরেখা দূর করতেও সহায়তা করে। এছাড়াও দুধের সঙ্গে জাফরান মিশিয়ে মাথায় লাগালে চুল পড়া বন্ধ হয় এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
ত্বকের যত্নে জাফরানের ব্যবহার
স্যাফরন বা জাফরানের সঠিক কিছু ব্যবহার আছে। আসুন স্টেপ বাই স্টেপ জেনে নেই এর সঠিক ব্যবহার।
আপনারা অনেকেই হয়ত জানেন জাফরানের উপকারী দিক সমূহ। তাহলে এটাও জেনে থাকবেন যে জাফরানে আছে হোয়াইটেনিং প্রোপার্টি, যা ত্বকের রঙ উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।
উপকরণঃ
১। ৫-৬ টা জাফরানের আঁশ
২।১/২ কাপ টক দই/দুধ/দুধের সর
৩। ২-৩ টা গোলাপের পাপড়ি
৪। ১ টেবিল চামচ চন্দন/মুলতানি মাটি/নিমের(স্পর্শকাতর ত্বক হলে) গুঁড়ো
৫। ১ টেবিল চামচ গোলাপ জল
প্রস্তুত প্রণালীঃ
জাফরান গুলো তরল দুধে ২-৩ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন; যতক্ষণ না এর রঙ হলুদাভ হয়। এবার গোলাপের পাপড়িগুলো ভালো করে ধুয়ে নিন। তারপর পাপড়িগুলোর পেস্ট তৈরি করে নিন। এবার একে একে দুধ-জাফরান, গোলাপ পেস্ট, মুলতানি গোলাপ জলে গুলিয়ে রাখুন। সুন্দর পেস্ট তৈরি হয়ে গেলে মুখের ত্বকে লাগিয়ে ২০-২৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে কলের ঠান্ডা পানিতে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
জাফরানের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াঃ
রোগ নিরাময়ের সময়ে, জাফরানের যথাযথ পরিমাণ জানা না থাকলে বিপদ হতে পারে। বমি, মাথাব্যথা, ক্ষুধামান্দ্য, এ সব তো আছেই, এমনকী নাক-মুখ দিয়ে রক্ত পড়া, ত্বক ও চোখের রং খুব দ্রুত হলদে হয়ে যাওয়া এই ধরনের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। গর্ভবতী মায়েদের জন্য জাফরান একেবারেই নিষিদ্ধ। যে ২০ কারণে ব্যবহার করবেন ‘জাফরান’ বিশ্বের সবচেয়ে দামি মশলা জাফরান। স্যাফরন বা কেশর নামেও এটি পরিচিত। এই মশলা নামিদামি অনেক খাবারে ব্যবহৃত হয়।খাবারের স্বাদ, ঘ্রাণ, রঙ বাড়িয়ে তুলতে এই ‘গোল্ডেন স্পাইস’ এর জুড়ি নেই। তবে জাফরানের কাজ শুধু এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। জাফরানের মধ্যে রয়েছে অসাধারণ সব ঔষধিগুণ।
২) জাফরান ও চন্দন মাস্ক প্রস্তুত প্রণালী
একটি পাত্রে ৪ চা চামচ দুধের মধ্যে জাফরান দিয়ে জাফরানের হলুদ রঙ আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।হলুদ রঙ আসলে এর সাথে চন্দন মিশিয়ে ভালো করে পেস্ট বানিয়ে পুরো ফেইসে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট।
এই মাস্কটি স্কিনকে এক্সফোলিয়েট (Exfoliate) করে পরিষ্কার করবে এবং ত্বক ভেতর থেকে উজ্জ্বল করবে। এটি সপ্তাহে একদিন ব্যবহার করলেই কার্যকরী ফল পাওয়া যাবে।
প্রথমে জাফরান আর কাঁচা দুধ মিশিয়ে দুই ঘন্টা রেখে দিন। এবার মিশ্রণটি ফেইসে লাগিয়ে একটু ম্যাসাজ করে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ১-২ ব্যবহার করলে ব্রণের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
৪) গ্লো ফেইস মাস্ক
জাফরান, দুধ, অলিভ অয়েল, চিনি - প্রথমে একটি বাটিতে ১ চামচ চিনি, ৩ চা চামচ কাঁচা দুধ, ৪-৫টি জাফরান আর একটু অলিভ অয়েল ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এবার মিশ্রণটি ঘার সহ পুরা ফেইসে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। শুকিয়ে গেলে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একদিন ব্যবহারেই আপনি পাবেন উজ্জ্বল ত্বক
৫) ড্রাই স্কিনের জন্য মাস্ক
জাফরান ও টকদই একটু অলিভ অয়েলের সাথে টক দই এবং জাফরান মিশিয়ে রাতের বেলা ফেইসে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রেখে দিন। শুকিয়ে গেলে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।মিল্ক পাউডার, জাফরান এবং গোলাপজল ভালো করে মিশিয়ে একটি প্যাক বানিয়ে নিন। এবার এই প্যাকটি ফেইসে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ভালো করে ধুয়ে নিন।এই প্যাক দু’টি ত্বকের শুষ্কতা দূর করার পাশাপাশি ত্বকের সেনসিটিভিটি, র্যাশ, এবং স্কিনের চামড়া ওঠা দূর করবে।
৬) জাফরান ও আমন্ড মাস্ক
জাফরান, আমন্ড ও মধুর মাস্ক প্রথমে আমন্ড এবং জাফরান একসাথে ব্লেন্ড করে নিন।এবার এতে অল্প একটু মধু মিশিয়ে ফেইসে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। শুকিয়ে গেলে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।আমন্ড এর ন্যাচারাল অয়েল আর জাফরানের এন্টি অক্সিডেন্ট মিলে স্কিনের ডেড সেলস, ডার্ক সার্কেল, ব্ল্যাক স্পট দূর করে স্কিনকে সফট আর হেলদি করে।
জেনে নিলেন জাফরানের কার্যকারিতা ও উপকারিতা সম্পর্কে। এটি ব্যবহার করে আপনি ত্বক ও চুলের পাশাপাশি স্বাস্থ্যেরও যত্ন নিতে পারবেন। নিয়মিত নিজের যত্ন নিন সুস্থ ও সুন্দর থাকুন।
ছবি- সংগৃহীত: wallpaperflare.com
জাফরান কি? খাওয়ার নিয়ম, উপকারিতা, জাফরানের দাম
No comments:
Post a Comment